গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয়
মুখের উজ্জ্বলতায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার গর্ভাবস্থায় কোন খাবার এবং কোন ফল খাবেন সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করছেন। আজকে
আপনাদের সাথে গর্ভাবস্থায় কোন ফল ও খাবার খাওয়া উচিত এবং উচিত না এই
বিষয়ে এমন দশটি দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো
গর্ভাবস্থায় নারীদের অনাগত সন্তানের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য নিজেকে সঠিক নিয়ম
অনুযায়ী ধাপিত করার চেষ্টা করে। তাই প্রতিনিয়তই গর্ভবতী মায়ের মনে প্রশ্ন হয়ে
থাকে যে কোন কোন খাবার এবং ফল খাওয়া উচিত এবং উচিত নয়। এ বিষয়ে নিম্নে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
- গর্ভবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়
- গর্ভবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে
- গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া উচিত না
- গর্ভবস্থায় শাক সবজি খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত
- গর্ভবস্থায় নাপা খাওয়ার দিকসমূহ
- গর্ভবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত না
- গর্ভবস্থায় নারীর করণীয় সমূহ
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
সবল ও সুস্থ স্বাস্থ্য রাখার জন্য ফল আমাদের দেহের জন্য একটি অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহ। তাইতো গর্ভবতী নারীরা ফল খাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত
অটুট। কারন ফল যে আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী তবে সকল গর্ভবতী
মায়েদের জেনে রাখা উচিত যে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া অনাগত সন্তানের এবং
নিজের জন্য বেশি ভালো হবে।
আরো পড়ুন :
১. কলা : গর্ভাবস্থায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ফল হলো কলা যা গর্ভবতী নারীর
জন্য খুবই উপকারী হয়ে থাকে।
২. খেজুর : আমরা সকলেই জানি দেহের জন্য খেজুর কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টির সমৃদ্ধ উপাদান। এবং খেজুর হলো একটি শক্তিশালী ও
গুনোনীয় ফল। তাই গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী
৩. কমলা : কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী নারীদের
সঠিক পুষ্টির চাহিদা সম্পন্ন করবে
৪. পেয়ারা : পেয়ারাতে অনেক পুষ্টিে উপাদান রয়েছে তাই ফলের তালিকায় পেয়ারা
ও রাখা যেতে পারে
৫. তরমুজ : তরমুজ হলো একটি পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ জলীয় ফল যা গর্ভাবস্থায়
আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে
৬. আপেল : গর্ভাবস্থায় আপেলও খুবই উপকারী হয়ে থাকে আপনি চাইলে আপনার ফলের
তালিকায় আপেল কেউ রাখতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েরই নিজের এবং অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে
সকল ক্ষতিকারক দিক থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে থাকে। তাইতো গর্ভবতী
নারীদের মনের ভিতর প্রশ্ন জেগে থাকে যে পুষ্টিগুণ সম্মত ফল খাওয়ার সাথে সাথে কোন
ফলগুলো খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
১. গর্ভাবস্থায় যে কোন ধরনের ফল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নভাবে না ধুয়ে খাওয়া
যাবে না। এবং খোসা জড়ানো কোনো ফল খাওয়া যাবে না।
২. পেঁপে : কাঁচা ও আধা সেদ্ধ পেঁপে গর্ভাবস্থায় খাওয়া যা না কারণ পেপেতে
রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের মত হুমকির সম্মুখীন হতে পারেন।
৩. আনারস : আনারস একটি টক জাতীয় ফল যা গর্ভঅবস্থায় খেলে আপনি ক্ষতির
সম্মুখীন হতে পারেন।
৪. আঙ্গুর : আঙ্গুরও একটি টক জাতীয় ফল যা গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য ক্ষতিকর
হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভঅবস্থায় টক জাতীয় ফল যেমন আনারস ও আঙ্গুর খাওয়া ক্ষতিকর হলেও লেবুর
ক্ষেত্রে এটা পরিপূর্ণভাবে ভিন্ন কেননা উপকারিতা বা অপকারিতা টক কিংবা মিষ্টির
উপরে নির্ভর করে না। উপকারিতা এবং অপকারিতা নির্ভর করে ফলের পুষ্টিগুণ এবং ফলে
থাকা উপাদানসমূহের উপর।
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট যা অনাগত সন্তানের ভ্রুনের স্নায়ুবিক বিকাশ
ঘটাতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। তাই লেবুর পুষ্টি ও গুণগতমান গর্ভবতী নারীর
জন্য খুবই উপকারী এবং অত্যন্ত জরুরী ও বটে। তাই আপনি গর্ভ অবস্থায় নিশ্চিন্তে
লেবু খেতে পারেন এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে
গর্ভবস্থা হলো একটি উদ্দীপনার সময় গর্ভাবস্থায় নিজের এবং অনাগত সন্তানের
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার নিশ্চিতে পুষ্টিকর খাবার খুবই জরুরী কেননা দেহে সঠিক
মাত্রায় পুষ্টির চাহিদা পূর্ণ হলে গর্ভে থাকা শিশু বৃদ্ধি পেতে সক্ষম হবে এবং
একটি সুঠাম দেহের অধিকারী হবে। তাই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মাছ খাওয়া অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন :
তবে গর্ব অবস্থায় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সব ধরনের মাছ খাওয়া আপনার জন্য
ক্ষতিকরও হতে পারে তাই গর্ভঅবস্থায় যে সকল মাছ খাওয়া আপনাদের জন্য উপকারী হবে
তা হলো
১. অধিক কাটাযুক্ত মাছ গর্ভাবস্থায় খাওয়া বেশি উপকারী হবে কারণ অধিক
কাটাযুক্ত মাছে অনেক উপকারী পুষ্টি ওরউপাদান বেশি পাওয়া যায়।
২. ইলিশ : অধিক কাটাযুক্ত মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ অন্যতম তাই আপনি চাইলে
আপনার খাবার তালিকায় ইলিশ মাছ রাখতে পারেন।
৩. ছোট জাতের মাছ : বাজারে বিভিন্ন ধরনের খুচরা মাছ পাওয়া যায় যেমন
ময়া, চান্দা, ভেটকি ও টেংরা মাছ। আপনি চাইলে আপনার খাওয়ার তালিকায় এই সমস্ত
মাছগুলিকে রাখতে পারেন।
৪. এছাড়া ও নদীর মাছ গুলোকে আপনি আপনার তালিকায় রাখতে পারেন
৫. গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন এমন কিছু মাছ হলো চিতল, গজার ,রুই ,কাতলা
,ব্রিকেট, গ্রাসকাপ, মৃগেল ও বোয়াল এবং মিঠা পানির মাঝেও আপনি আপনার খাবার
তালিকায় রাখতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া উচিত নয়
গর্ভাবস্থায় অনাগত সন্তান এবং নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিতে যে যে মাছগুলো
গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয় তা হলো:
চিকিৎসকদের মতে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে শিকারি মাছ গুলোকে এড়িয়ে চলা উচিত
যেমন শার্ক, হাঙ্গর, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক এই মাছগুলোতে অধিক মাত্রায় (
পারদ ) থাকে যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ও সামুদ্রিক মাছ
লবণাক্ত হওয়ায় গর্ভবতী নারীর জন্য এই মাছগুলো ক্ষতিকর হতে পারে।
ছোট মাছের মধ্যে আরেকটি পারদ উপাদান সম্মানীয় মাছ হলো চিংড়ি মাছ যা
গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাই চিংড়ি মাছকে এড়িয়ে চলুন।
পারদ উপাদান সম্মানীয় আরো কয়েকটি মাছের নাম হলো স্যামন, তেলাপিয়া,
মাগুর, শিঙি ও পাঙ্গাস এ জাতীয় মাছ গুলোতে কম পরিমাণে পারদ থাকলেও
গর্ভাবস্থায় এ মাছগুলোকে আপনার জন্য এড়িয়ে চলাই ভালো হবে। মাছ খাওয়া
নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম অনুযায়ী মাছ থেকে পুষ্টির
চাহিদা পূর্ণ করুন।
গর্ভাবস্থায় শাক ও সবজি খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পুষ্টির সঠিক চাহিদা মেটাতে শাক ও সবজি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
গর্ভাবস্থায় দেহে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির যোগান দিতে প্রয়োজন ভিটামিন এ,
ভিটামিন বি ,ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, আয়োডিন ও ক্যালরি ইত্যাদি যার
বেশিরভাগই পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে শাক-সবজি থেকে তাই গর্ভাবস্থায় কোন কোন
সবজি খুবই উপকারী হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো
১. পালং শাক ; অনেক গুণবীয় ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার হলো পালং শাক। পালং
শাকের সাথে ডালের রেসিপি এই খাবারটি আপনি চাইলে আপনার খাবার তালিকায় রাখতে
পারেন।
২. কলমি শাক : উল্লেখযোগ্য শাকের তালিকায় কলমি শাক ও সজনে পাতার শাককে আপনি
চাইলে আপনার তালিকায় রাখতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য সবজিগুলোর মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ঢেঁড়স ও ডুমুর এর সাথে টাটকা
সবুজ শাকসবজি আপনি আপনার খাবার তালিকা রাখতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত শাকসবজি থেকে আপনার আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন
সি পুষ্টি উপাদান এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত
গর্ভাবস্থায় চিড়া ও মুড়ি খাওয়া কতটা ভালো হবে তা নিয়ে গর্ভবতী নারীর চিন্তা
ভাবনার কোনো শেষ নেই অনেক সময় গর্ভবতী নারীরা শুকনো খাবার খেতে পছন্দ করে তাই
নিজের এবং গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মনে প্রশ্ন আসতে পারে
যে গর্ভ অবস্থায় শুকনো চিড়া কিংবা মুড়ি খাওয়া যাবে কিনা
স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা অনুযায়ী চিড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থেকে থাকে যা
আমাদের দেহের আয়রন উপাদানের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে
দেহে সঠিক মাত্রায় পুষ্টি জোগাতে অন্যান্য উপাদানের সাথে সাথে আয়রন এরও
প্রয়োজনীয়তা অনেক তাই গর্ভাবস্থায় চিড়া কিংবা মুড়ি নিশ্চিতে খাওয়া যেতে পারে।
এটি কোন ক্ষতির সম্মুখীন করবে না তা ছাড়াও গর্ভকালীন অবস্থায় চিড়া খেলে
রক্তস্বল্পতার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া ও অনেক
জরুরি বটে। তবে আপনি যদি চিড়া থেকে বেশি উপকৃত হতে চান তাহলে ভেজালমুক্ত আখের
গুড়ের শরবত বানিয়ে এর সাথে চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার জন্য
উপকারিতা বয়ে আনবে।
গর্ভাবস্থায় নাপা খাওয়ার দিক সমূহ
গর্ভাবস্থায় নাপা বা প্যারাসিটামল খাওয়ার উপযুক্ত সমাধান কি হতে পারে সেটা
নিয়ে প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের চিন্তার কারণ হয়ে বসেছে...
গর্ভাবস্থায় নাপা ও প্যারাসিটামল একটানা সেবন করা গর্ভবতী নারীর জন্য বিপদজনক এই
কথাটি নিশ্চিত করেছেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তারা জানিয়েছেন
যে অতি সূক্ষ্ম প্রয়োজনে কিংবা অল্প সময়ের জন্য প্যারাসিটামল বা নাপা খাওয়া
যেতে পারে।
কিন্তু যে নারীদের দীর্ঘ সময়ের জন্য নাপা বা প্যারাসিটামল সেবন করা প্রয়োজন বা
দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার অভ্যাস আছে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
আবশ্যক করনীয়।
আরো : পড়ুন
গর্ভবতী মায়েদের ব্যথা নাশক ঔষধ হিসেবে প্রায় নাপা ও প্যারাসিটামল ওষুধের
প্রয়োজন হয়ে থাকে তাছাড়া ব্যথা নাশক এর পাশাপাশি স্বল্প জ্বরের জন্যেও নাপা ও
প্যারাসিটামল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নাপা ও প্যারাসিটামল গর্ভাবস্থায় সেবন করা
প্রয়োজন বটে।
কিন্তু যারা বাছবিচার ছাড়াই একটু কোন সমস্যা হলেই একটানা নাপা ও প্যারাসিটামল
সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী নারীদের
ক্ষেত্রে কম মাত্রার এবং কম সময়ের জন্য নাপা ও প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
নাপা ও প্যারাসিটামল খাবার যুক্তিযুক্ত ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা
ইঁদুরের দিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন ইঁদুরের উপর করা গবেষণা মানুষের ওপর কতটা নেতিবাচক
প্রভাব ফেলবে তা সঠিক করে বলা মুশকিল তবে বিজ্ঞানীরা গর্ভাবস্থায় একটানা
সাত দিন নাপা সেবনের বিষয় থেকে সরে আসতে বলেছেন কারণ এটা বিপজ্জনক হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়
প্রত্যেক মা-বাবাই চায় তাদের সন্তানকে জীবনের সুন্দরও সর্বোত্তম সূচনা দিতে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা আপনি আপনার সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই নিজের সন্তানের জন্য করতে পারেন। এজন্য আপনার শরীরের পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু বাজে অভ্যাস আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে।আপনার গর্ভে আসা শিশুর সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে
গর্ভঅবস্থায় আপনাকে কিছু বিষয় থেকে আপনাকে দুরে থাকতে হবে তা বর্ণণা করা হলো
আপনি এবং আপনার শিশুর জন্য একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা অপরিহার্য। এই সময়ে ক্ষতিকারক সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হলো
• পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি নরম ও কমোলনীয় পনির
• মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিহার করা
• কাঁচা মাংস, কাঁচা মাছ ও কাঁচা সবজি
• পরিপূর্ণ রান্না না করা মাংসের খাবার ও যেকোনো ধরনের খাবার
• পরিপূর্ণ রান্না না করা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার
• পোড়া মাছ কিনবা পোড়া মাংস
• সম্পূর্ণ রান্না না করা বীজ, শস্য ও মটরশুটি
• আধা সেদ্ধ ও কাঁচা ডিম
আপনি এবং আপনার শিশুর জন্য একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা অপরিহার্য। এই সময়ে ক্ষতিকারক সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হলো
গর্ভঅবস্থায় যা যা এড়িয়ে চলা উচিত
• কাঁচাদুধ ও পাস্তুরিত দুধ বা ঘোল• পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি নরম ও কমোলনীয় পনির
• মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিহার করা
• কাঁচা মাংস, কাঁচা মাছ ও কাঁচা সবজি
• পরিপূর্ণ রান্না না করা মাংসের খাবার ও যেকোনো ধরনের খাবার
• পরিপূর্ণ রান্না না করা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার
• পোড়া মাছ কিনবা পোড়া মাংস
• সম্পূর্ণ রান্না না করা বীজ, শস্য ও মটরশুটি
• আধা সেদ্ধ ও কাঁচা ডিম
গর্ভাবস্থায় নারীর করণীয় সমূহ
একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তান জন্মানোর আগ পর্যন্ত কিছু করণীয় আছে যা সকল
গর্ভবতী মহিলার জানা প্রয়োজন। অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্য সুরক্ষার
নিশ্চিতের যেসব করণীয় জরুরী
- প্রতিদিন সকাল সকাল উঠে কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যের রোদ গায়ে লাগানো
-
সকালে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ খাবার বেশি খাওয়া
প্রয়োজন
-
সকালে পুষ্টি সম্মত খাবার খাওয়া যেমন ডিম, ছোলাও টাটকা ফল ইত্যাদি এবং
চেষ্টা করবেন টাটকা খাবার খাওয়ার
-
নিয়মিত সতেজ ফলমুল এর ওপর একটু বেশি আগ্রহ করা এবং পরিচ্ছন্ন শাক-সবজি
খাওয়ার
-
প্রতিদিন অল্প একটু করে হলেও হাঁটা, যা শরীরের ব্যায়াম হিসেবে কাজ
করবে
-
রাতে ঘুমানোর আগে দুধ, দই কিংবা বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন উপাদানের
খাবার খাওয়া
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url