দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সকলের ইচ্ছে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার কিন্তু নানান
কাজের মাঝে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা। দিন দিন কমে যাচ্ছে তাই কিভাবে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর যায় এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো
মুখের উজ্জ্বলতায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের গুরুত্ব
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আমরা নিয়মিত প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ক্রিম
ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু রোদের তীব্রতায় আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে
যায় তাই আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার
করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই সঠিকভাবে এই ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহার করলে
আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ
তবে নিশ্চয়ই আপনাকে এটি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে না হলে হিতে বিপরীত
হতে পারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বলতে আমরা বাজারে কিংবা যে কোন ফার্মেসিতে পাওয়া
সবুজ রঙের এবং কমলা রঙের ক্যাপসুল গুলোকে চিনে থাকি। যা দেহে ভিটামিন এর
ঘাটতি হলে ডাক্তার আমাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন।
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আমাদের সবুজ রঙের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করাই বেটার হবে।মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস কিংবা ক্রিম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই আমরা নিশ্চিন্তে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো ব্যবহার করতে পারি।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারলে রৌদ্রে নষ্ট হয়ে
যাওয়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বকের অনুজীবের ঘাটতি ও পূরণ হয়ে যাবে।
তাই অবশ্যই সঠিক নিয়মানু সহকারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করার নিয়ম
সবার প্রথমে আমাদের ফার্মেসী থেকে সবুজ রঙের ক্যাপসুল নিয়ে আসতে হবে এরপর
আপনি এই ক্যাপসুল টিকে আপনার পছন্দের ক্রিম এর সাথে মিক্স করে ব্যবহার করতে
পারেন। কিনবা আপনি চাইলে ক্রিম ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন।
ক্রিম ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি থেকে দুইটি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে দৈনিক দুইবার করে ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্যে
প্রথমে আপনি দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কে ছিদ্র করে তার ভেতরে থাকা তেল
টুকুকে হাতে নিয়ে মুখের উপর মালিশ করতে পারেন।
আর অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করার পর বাকি অংশ টুকুকে
না ফেলে খেয়ে নিন। কারন বাকি টুকুও আপনার দেহের জন্য ভিটামিন হিসাবে কাজ
করবে।
আর ভিটামিন ই ক্যাপসুল ক্রিম এর সাথে ব্যবহর করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনি সেই
পরিমানে ক্রিম হাতে নিবেন যেই পরিমানে ক্রিম আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন। এবং
তার সাথে দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল টুকু বের করে ক্রিম এর সাথে ভালো করে
মিক্স করে আপনার মুকে মালিশ করবেন তাহলেই আপনার ধীরে ধীরে মুখের
উজ্জ্বলতা পরিবর্তন হওয়া শুরু করবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি যদি কোনো ক্রিম ছাড় আপনার চেহারাকে ফরসা করতে চান সেক্ষেত্রে ও ভিটামিন ই
ক্যাপসুল আপনার জন্য একটি কার্যকারি পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা আজকাল ফর্সা হওয়ার
জন্য ক্রিম ব্যবহারে পার্শ্ব পতিক্রিয়া থাকায় অনেকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর
ব্যবহার শুরু করেছে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
এর সাথে নানান দ্রবাদি ও ফলের মিশ্র ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি এর
ভালো ফলাফল পাবেন বলে আমি মনে করি। ফর্সা হওয়ায় জন্যে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
এর সাথে মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন যেমন পাকা পেঁপের সাথে মধু, লেবুর রস ও
হলুদের গুড়া ইত্যাদি।
এখানে উল্লক্ষিত যে কোন দ্রবাদির সাথে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আমরা জানবো হলুদের গুড়ার সাথে কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হয়। প্রথমে আপনি আগে একটি ছোট পিরিচ বা পাত্র নিবেন এবং এক চামচ পরিমাণ হলুদের গুঁড়া নিবেন তারপর আপনি এর সাথে এক চামচ পরিমাণ নারিকেল এর তেল ব্যবহার করে ভালো করে মিক্স করে নিবেন।
তার সাথে দুইটি সবুজ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর থেকে তেল বের করে ভালো করে মিক্স
করে নিবেন। হয়ে গেলে এবার আপনি আপনার মুখের সকল স্থানে এটি লাগিয়ে দিন। এবং
এক থেকে দুই ঘন্টা পর আপনি এটা ধুয়ে ফেলতে পারেন।
ধুয়ে ফেলার পর আপনার মুখমন্ডল কে আগের তুলনায় ফর্সা দেখাবে এইভাবে নিয়মিত
দুই থেকে তিন মাস ব্যবহার করলে আপনি নিজেই আপনার পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সকলেই চাই তাদের ঝলমলে রূপটা সবার সামনে তুলে ধরার। তাই
সকলেরই মনের কৌতুহল শুরু হয়েছে কিভাবে রূপচর্চা করা যায় এবং কি ব্যবহার করলে
রূপচর্চার দিকটি ভালোমতো প্রতিফলিত করা যাবে। এই বিষয়ে বরাবরই মেয়েদের
আগ্রহ বেশি থাকে কেননা ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা একটু বেশিই রূপচর্চা করতে পছন্দ
করে।
আজকে আমরা জানবো কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে রূপচর্চা করা
যায়। রূপচর্চার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি কার্যকারী পদক্ষেপ উজ্জ্বলতা
বাড়ানোর সাথে সাথে মাথার চুল কেউ অনেক পরিপাটি রাখতে সাহায্য করে এই ভিটামিন ই
ক্যাপসুল। তার সাথে সাথে তৈলাক্ত ত্বকেরও কাঁটা দাগ ব্রণ মেসদা নির্ময় করতে
সাহায্য করে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে রূপচর্চা করার ক্ষেত্রে বাজার কিংবা ফার্মেসীতে
মোট দুই ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে সবুজ রঙের
ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করাই ভালো হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য
আপনি দুইটি ক্যাপসুল কে ফুটো করে তার ভেতরে থাকা তেল বের করে আপনার ত্বকে
মালিশ করতে পারেন।
আরো পড়ুন ঃ
আপনি যদি দৈনিক দুবার করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাহলে আপনি
নিজেই এর ফলাফল বুঝতে পারবেন যে কতটা কার্যকরী তাছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কাটা
দাগ ও চোখের নিচের কালো দাগ মুছে ফেলার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন।
রূপচর্চার আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো চুলের যত্ন নেওয়া সেক্ষেত্রেও ভিটামিন ই
ক্যাপসুল খুবই কার্যকরী আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মিশ্রিত তেল
ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল হয়ে উঠবে একদম তরতাজা ও মজবুত যার বাস্তব
প্রমাণ আমি নিজেই
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে কোন তেলটি ব্যবহার করবেন সেটি নিয়ে ভাবছেন
নিশ্চয়ই। হ্যাঁ বাজারে এমন একটি তেল রয়েছে যে তেলটির সাথে আপনি ভিটামিন ই
ক্যাপসুল তেলটি মিক্স করে ব্যবহার করলে অতি দ্রুত কাজ করবে তেলটির নাম হল
Castrol oil এই প্রোডাক্টটি আপনি দারাজে Available পেয়ে যাবেন।
Castrol oil এর সাথে আপনি কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন ? প্রথমে
আপনি ২০০ মিলি এর একটি ক্যাস্ট্রল তেলের বোতল নিবেন তারপর বোতলটির ভেতরে
চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তার ভেতরে থাকা তেল টুকুকে দিয়ে ভালোভাবে
মিক্স করে নিবেন। এবার আপনি খেয়াল করুন যে তেলটি আগের তুলনায় অনেক আঠালো এবং
ঘন হয়ে গেছে।
এবার আপনি প্রতিদিন রাতে চুলের গোড়ায় এবং সমস্ত চুলে দিয়ে ঘুমিয়ে যান এবং
সকালবেলা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন তাহলে আপনি এর আসল কেরামতি দেখতে
পাবেন। এই তেলের আরেকটি অন্যতম গুন হলো চুল পড়া বন্ধ করা। আপনার যদি মাথা থেকে
চুল ঝরে পড়তে থাকে তাহলে আপনি এই তেলের মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
আমরা প্রতিনিয়তই শুষ্ক ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় আসলে আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেই। যা আমাদের কাছে খুবই লজ্জানীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আজকে আমরা জানবো কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়।
তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি ফল বা দ্রব্যাদির সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মিশ্রনের সাহায্য নিতে পারেন। তাহলে এটি দ্রুত কাজ করবে যেমন লেবুর রস, আপনি যদি প্রতিদিনি লেবুর রসের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল কে ভাল ভাবে মিক্স করে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো কার্যকরী হবে।
লেবুর রস বরাবরই কড়া ও ফাটা ত্বক গুলোকে নরম করতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের অনুজীব গুলোর ভেতরে ভিটামিন সঞ্চালন করে সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করে। আপনি চাইলে আপনার ঠোঁটে ও এই ফরমালিন টি ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে কার্যকরী হবে।
প্রয়োজন মতো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারলে আপনার মুখের সকল ধরনের বর্ণ মেজদা দূর হয়ে যাবে। এই ফরমালিটি বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে একটু বেশি কার্যকরী হিসেবে কাজ করতে পারে কারণ বয়স্ক লোকেদের শরীরে একটু বেশি ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি থেরাপি সমূহ
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যদি আপনি এর ব্যবহার সম্বন্ধে জানতে পারেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই চাই পরিপাটি থাকতে কিন্তু ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকেও বয়সের ছাপ দেখা যায়। যেন প্রায় মৃদু হয়ে যাচ্ছে তাছাড়া পারিবারিক ও সাংসারিক কাজের জন্য ত্বকের শুষ্কতা দেখা যায়।
যা আমাদের পরিপাটি থাকার ব্যাঘাত ঘটায় কিন্তু আপনি যদি সকল কাজের মাঝেও বয়স্ক থাকা অবস্থায় নিজেকে পরিপাটি রাখতে চান তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার জন্য অন্যতম কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে। যা ব্যবহারে আপনার ত্বকের ভিটামিনের সঞ্চয় করে আপনার ত্বককে রাখবে সবসময় নরম ও উজ্জ্বল আর আপনিও নিজেকে পরিপাটি রাখতে সক্ষম হবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ব্যবহার না করে আপনি চাইলে আপনার পছন্দের ক্রিম এর সাথে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি এক্সট্রা বেনিফিট পাবেন বলে আমি মনে করি। ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনি হালকা পরিমাণে নাইট ক্রিম নিন এবং এর সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিন।
এভাবে আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভিটামিন এর গুনটা একটু হলেও বেশি পাবেন। একইভাবে আপনারা শরীরে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার বডি লোশনেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
ত্বকে ব্যবহার করার জন্য যে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ভালো হবে সেটি হলো সবুজ রঙের Evion 200 ই ক্যাপসুল। শরীরে সঠিক তাপমাত্রা ও ভিটামিন থাকলে বেশি পাওয়ার এর ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে লাভের চাইতে আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হতে পারে ।কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
তাই বাজারে বা ফার্মেসিতে সবচেয়ে কম পাওয়ার এর ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি হলো সবুজ রঙের Evion 200 ক্যাপসুলটি। তাই ত্বকের জন্য এ ক্যাপসুলটি ভালো হবে। আর হ্যাঁ অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন না না হলে বিপরীত হতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। এবং একটি সতেজ মস্তিষ্ক ও সুস্থ স্বাস্থ্য উপলব্ধি করা যায়। আমরা প্রায় নানান অসুখে কবোলিত হয়ে থাকি যার ফলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। আর ভিটামিন এর ঘাটতি হলে শরীরের নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন ঃ
যেমন শরীর রোগা হয়ে যাওয়া, মাথার চুল ঝরে পড়া, ঠোঁট ফাটা ও শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সমস্যা গুলো হয়ে থাকে তাই আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান তাহলে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি সতেজ শরীর ও মস্তিষ্ক লাভ করতে পারেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক সময়
আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার অনেক জরুরী। সেজন্য আমাদের জেনে রাখা উচিত যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার বা খাবার সঠিক সময় কোনটা। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের কার্যক্রম অনেক শান্ত মেজাজে সঞ্চালন হয়।
এবং অল্প ঠান্ডায় আমরা বিশ্রাম করা অবস্থায় কোন কিছুর অনুপস্থিতি বেশি ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং এরকম সময়ে ওষুধ দেহে ভালোভাবে কার্যসম্পাদন করতে পারে তাই আমরা বুঝতে পারি যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই এ সময় অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
সব কিছুরই ভালো ও খারাপ দিক থাকে তেমনি ভিটামিন ই ক্যাপসুলেরও যেমন উপকারিতা আছে তেমনি রয়েছে অপকারিতাও। আমরা জানি দেহ ও ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল কতটা গুরুত্বপূর্ণ তবে এর সঠিক মাত্রার ব্যবহার না করলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। আপনাদের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কয়েকটি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
উপকারিতা
- দেহে ভিটামিন এর ঘাটতি হলে তা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দ্বারা পূরণ করা যায়।
- তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার করলে ত্বক আগের তুলনায় অনেক জীবন্ত ও নরম হয়ে যায়।
- ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়।
- ভিটামিনের অভাবে মাথার চুল ঝরে যেতে শুরু করলে তা রোধ করা যায়।
- প্রয়োজন মত ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে একটি পরিপাটি জীবন উপলব্ধি করা যায়।
অপকারিতা
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারে অনেক উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা নেই বললেই চলে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর একটি ক্ষতিকর দিকগুলো এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
- আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকে অনেক বড় প্রকৃতির সমস্যা হতে পারে
- অতিরিক্ত খেলে দেহে ভিটামিনের মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়াই এর কিছু অংশ ফুলতে শুরু করবে।
- এবং আপনার শরীর অনেক গরম হয়ে থাকবে যার ফলে আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ এর উপকারিতা
বাজারে কিংবা ফার্মেসিতে মোট দুই ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। সবুজ রঙের এবং আরেকটি হল কমলা রঙের। এই ক্যাপসুলগুলো ২০০ এবং ৪০০ পাওয়ার এর হয়ে থাকে। এখানে উভয় ক্যাপসুল দুইটির কার্যকারিতা একই। তবে কোন ব্যক্তির দেহে যদি বেশি পরিমাণে ভিটামিনের ঘাটতি হয় তাহলে তার জন্য ই ক্যাপসুল ৪০০ অনেক বেশি কার্যকারি হবে।
কোন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম কত
ফার্মেসিতে কিনবা ওষুদের দোকানে মোট দুই ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুলো পাওয়া যায়। Evaion 400 হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পাওয়ার ফুল একটি ক্যাপসুল যার একটি ক্যাপসুলের মূল্য ১৫ টাকা। এবং Evaion 200 হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নরমাল একটি ক্যাপসুল যার একটি ক্যাপসুলের মূল্য৭-১০ টাকার ভেতরে হয়ে থাকে। অবশ্যই ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে শুনে নিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url